রোজা রেখে,জীবনের ঝুকি নিয়ে মানব সেবায় মিরাজুল ইসলামের সেচ্ছাসেবকেরা।
বৈশিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন 'মিরাজুল ইসলাম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন' এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মিরাজুল ইসলাম। তার ফাউন্ডেশন থেকে ভান্ডারিয়ার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের নিম্ম আয়ের মানুষের কাছে ধাপে ধাপে পৌছে দেওয়া হয়েছে খাদ্য সহায়তা।
এরপর নেওয়া হয়েছে এক মহতি উদ্যোগ। ভান্ডারিয়ার সকল শ্রেনীর মানুষকে উপহার সামগ্রী প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহন করেন মিরাজুল ইসালাম ওয়েলফেরায় ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জনাব মিরাজুল ইসলাম।
ভান্ডারিয়া উপজেলায় ৭ টি ইউনিয়নে প্রায় ৫০ হাজারের অধিক পরিবার রয়েছে। এই সকল পরিবার এবং
সকল শ্রেনী পেশার মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া হচ্ছে এ উপহার সামগ্রী।
আর উপহার সামগ্রী প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে পৌছে দিতে জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে মিরাজুল ইসলামের একদল সেচ্ছাসেবক। ভান্ডারিয়া যুবলীগ, উপজেলা,পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগ এবং সেচ্ছাসেবক লীগের প্রায় ৩০০ এর অধিক সদস্য নিয়ে এ সেচ্ছাসেবক দল গঠন করা হয়েছে।
এই করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুকি উপেক্ষা করে তারা চলে যাচ্ছে গ্রামে গ্রামে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মানুষে হাতে হাতে পৌছে দিচ্ছে উপহার। রোদ,বৃষ্টি,ঝড় কোন কিছুই তাদের ধমাতে পারছে না।প্রতিকুল আবহাওয়া উপেক্ষা করে তারা চলে যাচ্ছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে। রোজা রেখে কাধে বস্তা নিয়ে পাড়ি দিচ্ছেন বহুদূর।কখনো সামনে বাধা হয়ে আসছে গ্রামের কর্দমাক্ত রাস্তা,কখনো বাধা হয়ে আসছে জলাবদ্ধতা আবার কখনো বাধা হচ্ছে প্রতিকুল আবহাওয়া রোদ,ঝড়,বৃষ্টি। সাথে জীবনের ঝুকি তো থাকছেই। কোন বাধাই তাদের ধমিয়ে রাখতে পারছে না।সব বাধা অতিক্রম করে কাধে বহন করে প্রতিটি ঘরে ঘরে উপহার নামক খাদ্যসামগ্রী পৌচ্ছে দিচ্ছে এসকল সেচ্ছাসেবকেরা।তবুও তাদের যেন ক্লান্তি নেই,কাজ করে যাচ্ছেন হাসিমুখে।তাদের একটাই লক্ষ্য মানব সেবা আর এ লক্ষে তারা সদা অটুট। বাড়িতে অলস উপাধি পাওয়া ছেলেগুলোও জীবনের ঝুকি নিয়ে প্ররিশ্রম করছে অভিরাম, বেরিয়ে পড়ছে মানব কল্যানে।
এ যেন তারুন্য দিপ্তের বাস্তব উদাহরন যা গল্পকেও হার মানায়।
No comments